ভালোবেসে আলিয়া সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এ দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। কিন্তু পুত্রসন্তানের স্বীকৃতি না দেওয়া, স্ত্রীকে খাবার না দেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ উঠেছে এই তারকা অভিনেতার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছেছে; যা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
স্ত্রী আলিয়ার অভিযোগের কারণে নিয়মিত খবরের শিরোনাম হলেও এতদিন আড়ালে ছিলেন নওয়াজউদ্দিন। অবশেষে এ বিষয়ে মুখ খুললেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের এসব বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে শুরুতে বিরক্তি দেখা যায় নওয়াজউদ্দিনের চোখে-মুখে।
নিজেকে সামলে নিয়ে এই অভিনেতা বলেন, ‘খোলাখুলি জানাচ্ছি, এসব বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। তবে হ্যাঁ, এসব কারণে আমার সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আমার দুই সন্তান দুবাইতে পড়াশোনা করে। আর গত ১ মাস ধরে ওরা এখানে রয়েছে। তাতে ওদের পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে। আমার একটাই আবেদন, আমার বাচ্চারা যেন স্কুলে যেতে পারে, এর বেশি কিছু বলব না।’
নওয়াজউদ্দিনের মা মেহেরুনিসা সিদ্দিকী আলিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আলিয়াও তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য নওয়াজের বাড়ির সবকটি বেডরুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন নওয়াজউদ্দিনের মা। আর নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী তার সন্তানদের নিয়ে লিভিং রুমে থাকছেন। অন্যদিকে নওয়াজউদ্দিন একটি হোটেলে বসবাস করছেন বলে জানা যায়।
কয়েক দিন আগে বলিউড হাঙ্গামাকে নওয়াজউদ্দিনের এক বন্ধু বলেন— ‘নওয়াজউদ্দিন এখন একটি হোটেলে থাকছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তার আইনজীবীরা বাড়ির ঝামেলা না মেটাচ্ছেন, ততক্ষণ ওই হোটেলেই থাকবেন নওয়াজউদ্দিন।’
২০০৯ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন নওয়াজউদ্দিন-আলিয়া। এ দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্রসন্তান রয়েছে। আলিয়ার আসল নাম অঞ্জনা পান্ডে। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নওয়াজউদ্দিনকে বিয়ে করে নাম রাখেন আলিয়া। মূলত, ২০২০ সালে নওয়াজউদ্দিন-আলিয়ার দাম্পত্য কলহের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।